স্মার্ট স্কুল কি ও কেনো?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এ.আই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বুদ্ধি ও ইচ্ছা শক্তি দিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম ও বিশ্ব পরিচালনার পদ্ধতি হচ্ছে এখনকার স্মার্টনেস। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে সৃজনশীলতা, সূক্ষ্ম চিন্তাদক্ষতা, খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং যোগাযোগ দক্ষতার মতো সফট্ স্কিলগুলো অর্জন ও প্রয়োগের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রই হলো স্মার্ট স্কুল। এই স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে ডিজিটাল বই-খাতার পাশাপাশি থাকবে স্মার্ট বোর্ড, স্মার্ট এসি, স্মার্ট এক্সেস কন্ট্রোল, স্মার্ট সিসি ক্যামেরা, স্মার্ট সাউন্ড সিস্টেম, স্মার্ট ইন্টেরিয়র, স্মার্ট লাইটিং- কালারিং। স্মার্ট রিডিং ডেস্ক। এমনকি শিশুদের আনা-নেয়ার ট্রান্সপোর্টও হবে স্মার্ট। ডিজিটাল বইয়ের ওপর বিশেষ ট্রেনিং থাকায় শিক্ষকমন্ডলীও হবেন খুবই স্মার্ট। শিশুর মনে সৃজনশীলতার স্বপ্নবীজ বুনন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে উপযুক্ত করে উপস্থাপন করাই স্মার্ট স্কুলের শিক্ষার্থীদের একমাত্র অভিযাত্রা।
অধ্যক্ষের বাণী

সম্মানিত অভিভাবক!
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
শিক্ষার নবদিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যয়ে, ২০২৩ সালে রায়পুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে জ্ঞানপিপাসু জনগোষ্ঠীর বহু কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ব্যতিক্রমধর্মী স্মার্ট প্রযুক্তিতে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষার সমন্বয়ে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠান “এইচআরসি স্মার্ট স্কুল”। ইতিমধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা, পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা, মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানের স্বাতন্ত্র্য ও সাফল্য সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। আধুনিক, পরিপাটি ও সৌন্দর্যমণ্ডিত নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস সকলকে অভিভূত করছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা, মনন, দক্ষতা, দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। সেই লক্ষ্যেই শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। একজন শিক্ষার্থীর মনে সৃজনশীলতার স্বপ্নবীজ বুনন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে উপযুক্ত করে উপস্থাপন করার জন্যই স্মার্ট স্কুলের এই অভিযাত্রা।
আপনাদের প্রতি সদয় আমন্ত্রণ— আমাদের আঙিনায় আসুন, আমাদের পরিকল্পনা ও শিক্ষাদান কৌশল দেখুন এবং মতবিনিময় করুন। আমরা আশাবাদী, আপনার প্রিয় সন্তানকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারসহ ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং চারিত্রিক উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সময়ের দাবি পূরণে যোগ্য ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য “এইচআরসি স্মার্ট স্কুল” কেই বেছে নেবেন।
সালাম ও শুভেচ্ছান্তে,
মাইনুর আলম (মিশু)
অধ্যক্ষ
এইচআরসি স্মার্ট স্কুল।
সভাপতির বাণী

সম্মানিত অভিভাবক,
আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
ব্রিটিশ প্রবর্তিত বহুধাবিভক্ত শিক্ষাপদ্ধতি আমাদের সন্তানদের বিভাজনমুখী করে তুলছে। এক মানুষের ভেতর বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মোবাইল-ইন্টারনেটের ভয়াবহ আসক্তি শিশুদের বই থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অভিভাবকগণ নানান চটকদার বিজ্ঞাপন ও মনভোলানো মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাঝে প্রকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও সর্বমানবিক ধর্মীয় অনুশীলনমুখী শিক্ষা এখন সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণে প্রিয় জন্মস্থান রায়পুরে বিশ্বমানের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে শিশুদের স্কুল হওয়া উচিত আনন্দ ও বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু। ব্যবসার চেয়ে সেবাকে প্রাধান্য দিতে পারলে শিক্ষাসেবা উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেরকম এক স্বপ্নযাত্রার নাম-
“এইচআরসি স্মার্ট স্কুল”।
এলাকাবাসীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে অত্র স্কুলে বাংলা ও ইংলিশ ভার্সনের পাশাপাশি সমান গুরুত্বে থাকবে আরবি ভাষা। আস্থার সঙ্গে আমাদের স্কুলটি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাই। অভিভাবক ও সুধীজনের দোয়া এবং সার্বিক সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।
শুভেচ্ছান্তে,
রোটারিয়ান রফিকুল হায়দার চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
এইচআরসি স্মার্ট স্কুল।